বাংলাদেশ_পুলিশ_এবং_কিছু_বাস্তবতা_
#বাংলাদেশ_পুলিশ_এবং_কিছু_বাস্তবতা_♡💝
দয়া করে সম্পুর্ন পড়ে তারপর পুলিশ কে গালি দিন
06 নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫ঃ৩০
অনেকদিন থেকেই দেখছি কিছু হলেই পুলিশ কে গালি।লিখব লিখব করে লিখেই ফেললাম।একবার হলেও দেখে যান বাস্তবতা।
এক ব্লগার ভাই কোন এক পোস্টে বলেছেন “আমরা চাই, এমন একটি সুসভ্য পুলিশ বাহিনী, যার উপর দেশের ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শহরের-গ্রামের সবাই আস্থা রাখতে পারবে, বিপদে নির্দিধায় যেতে পারবে পুলিশের কাছে। মানুষের জীবন হবে নিরাপদ। “
ভাই আপনার কাছে এটি প্রশ্ন, আমরা কি সুসভ্য জাতি? শুধুমাত্র সুসভ্য জাতি হলেই আমরা একটি সুসভ্য পুলিশ বাহিনী পাব।অনেকেই বলে ইউকে,আমেরিকার পুলিশ কত ভালো ,আমাদের পুলিশ সেরকম হয় না কেন? আরে ভাই ওইসব দেশের পাব্লিক কিরকম আর আমদের কিরকম? পুলিশে লোকজন তো আমাদের সমাজ থেকেই যায়,তারা তো আর বাইরের কোন দেশ থেকে আসে না? আমরা যেরকম ,আমদের পুলিশ ও সেরকম।
সবাই শুধু একবাক্যে পুলিশের উপরে দোষ চাপিয়ে খালাস আর কিছু দেখার সময় নাই।আরে ভাই আমাদের দেশের পুলিশ চলে এখনও ১৮৬১ সালের পুলিশ এক্ট দিয়ে যা ব্রিটিশ রা বানিয়ে ছিল শুধু মাত্র তাদের সার্থ উদ্ধারের জন্য, মারপিট করে খাজনা আদায় করার জন্য,লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যহারের জন্য।এজন্য তারা service oriented police act না করে ,করেছিল এমন এক পুলিশ বাহিনী যা শুধু তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে আর নিজেদের দেশের জন্য বানিয়েছিল service oriented police act যেখানে কিনা এক জন constable ও একজন officer।আর সেখান কার এক জন পুলিস অফিসার prime minister এর গাড়ি কে থামাতে পারে কর্তব্যের খাতিরে।
এখন আসি বাংলাদেশের পুলিশে, সেই ব্রিটিশ রা আইন করে দেয়ার পর সময় চলে গেছে।এরমধ্যে অনেকবার ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে কিন্তু কেউ আর সেই আইন টা পরিবর্তন করে নি।কেন করবে?তারা কি আমার আপনার মত গাধা নাকি যে এত সুন্দর অস্র টা হাতছাড়া করবে।সামনে শুধু মূলো ঝুলিয়ে রেখেছে যে পরিবর্তন করব,আগামীবার ক্ষমতায় গেলে নিশ্চিত করব।কেউ কি চায় নিজের ক্ষমতা কমাতে? চায় না।বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনি সম্পূর্ন ভাবে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সোজা কথায় পলিটিক্যাল পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।আজ লীগ তো কাল বিএনপি।জনগনের জন্য কাজ করার সময় কই এদের কাজ করেই সময় পাওয়া যায় না।আপনি একজন সৎ পুলিশ অফিসার,আপ্নাকে সৎ থাকতে দেবে তো?
অনেক কষ্ট করে আপনি অপরাধী ধরলেন,তারপর কি হল?দেখা গেল ওই সন্ত্রাসী ওমুক দলের লোক বা ওমুক এমপির লোক।শুরু হয়ে গেল ফোনের পর ফোন তা না হলে থানা ঘেরাও।কার এত বড় বুকের পাটা এমপির এলাকায় এমপির কথা শুনবে না?না শুনলে খবর আছে, স্বরাষ্টমন্ত্রি কে বলে এক্ষুনি ট্রান্সফার,ওএসডি,সা্সপেন্ড করিয়ে দেব,বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাধ্যতামূলক অবসর অবাধ্য হওয়ার জন্য।আর মিডিয়া তো আছেই একাজে সাহায্য করার জন্য, জেলা প্রতিনিধি কে বলে দিব এমন সব নিউজ দিতে যাতে ওই পুলিশ অফিসার বলে, ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি।কত্তবড় সাহস আমি ওমুক দলের তমুক নেতা ,আমার কথা শুনে না।শালা যত দোষ পুলিশের,কিছু করলে দোষ আবার কিছু না করলেও দোষ।মাইনক্যা চিপা কারে কয় হাড়ে হাড়ে টের পাইবা।বিরোধি দলের কোন নেতারে ধর তাতেও নিস্তার নাই,এমন সব থ্রেট দিব কইলজা শুকায়া যাইব,তারা কি কম নাকি?এক কাজ কর কাউরে ধরার ধরকার নাই,চুপচাপ বইসা থাক,ওরে খাইছে মিডিয়া আছে না,সুশীল সমাজ আছে না!!!তার কি কোন উপায় আছে??
এখন শুনেন মিডিয়ার কথা।রাত ১১ টা দিকে ওমুক পত্রিকার তমুক প্রতিনিধি ওসি সাহেবের রুমে। কিরে ঘটনা কি ,ঘটনা হইল এই যে,ঃ
সাংবাদিকঃ ওসি সাহেব, আপনার এলাকায় তো আইনশৃংখলা পরিস্থিতি তো খুব খারাপ।ভাবতাছি কাল একটা বিশাল নিউজ দিমু এইটা নিয়া।আপ্নি কি কন?
ওসি ঃ ভাই কি যে বলেন না।ভাই চা দিতে বলি চা খান।আপ্নারে আমাদের সাথে এরকম করলে চাকরি কিভাবে করব,বলেন? আমার ক্যারিয়ার টা ধংস কইরেন না।আপ্নার জিনিস রেডি আছে।
(এই বলে ওসি সাহেব দশ হাজার টাকার একটা বান্ডিল সাংবাদিক সাহেবের হাতে ধরাইয়া দিলেন)
সাংবাদিকঃ না না ,এসবের কি দরকার ছিল।আপ্নি বললে আমি এম্নিতেও লিখতাম না।শুধু শুধু কস্ট করলেন।
ওসি ঃ না না রাখেন,এ আর এমন কি?
সাংবাদিকঃ ভাই,আপ্নার মত ভালো ওসি আমি আমার সাংবাদিকতা জীবনে কমই দেখেছি।চিন্তা করবেন না আমি থাকতে কেউ আপনার বিরুদ্ধে টু শব্দটাও লিখবে না।আচ্ছা এখন তাহলে যাই,প্রেস ক্লাবে একটা মিটিং আছে।আমি কিন্তু মাঝে মাঝেই আসব।
ওসি ঃ ঠিক আছে।আর অই ব্যাপারটা কিন্তু মাথায় রাইখেন।
এই হইল ঘটনা।মিডিয়া ইচ্ছা করলে রাতকে দিন বানাতে পারে আবার দিনকে রাত।্মিডিয়ার লোকজন সব একজ়োট হয়ে যদি কারো পিছনে লাগে,তাইলে তার ক্যারিয়ারের বারোটা বাজতে বেশি টাইম লাগবো না।এর জন্য পুলিশ ও সাংবাদিক দের সাথে লাগতে চায় না।দেখবেন সাংবাদিক দের মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে সাংবাদিক কথাটা লেখা থাকে যাতে পুলিশ আগে থেকেই সাবধান হতে পারে যে এই গাড়ি আটকানো যাবে না।আটকালেই আমার নামে নিউজ দিয়ে দিবে যে আমি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাদাবাজি করেছি।
আর পাব্লিক এসব নিউজ খুব খায়।পুলিশ নিয়ে যত খারাপ কথা লিখবেন তত বেশি তা পাব্লিক খাবে।পাব্লিক কি আর দেখতে যাবে কতটুকু সত্য না মিথ্যা।
এসি আকবরের কথা মনে আছে?ওই যে এক সাংবাদিক কে ঘুষি মারতে গিয়েছিল।সব পেপারে হেডলাইন এসেছিল ছবি সহ।আগের ঘটনা কয়জন জানে,সাংবাদিক রা আগে তার উপর চড়াও হয় এবং একজন সাংবাদিক তাকে ঘুষি মারে,তারপর না তিনি ওই সাংবাদিক মারতে যান আর সেই ছবি দিয়ে তার পুলিশ জীবনের ক্যারিয়ার ধংস।আমাকে কেউ ঘুষি মারলে, আমি নিজেও কি তাকে ছেড়ে দিব?কি মনে হয় আপ্নাদের।আর সে তো ছিল ডিউটিরত একজন পুলিশ অফিসার।পুলিশ বাহিনি তে অনেক সত,সাহসী লোক আছেন কিন্তু কত আর ঝামেলা স হ্য করা যায়।এক সময় গিয়ে সেই প্রফেশ্নালিজম আর থাকে না।
বাংলাদেশের আর কোন জব আছে যেটা পুলিশের চেয়ে বেশি রিস্কি?আমার জানা মতে নেই।মিছিল,হরতাল,বোমাবাজি কখন কোন দিক দিয়ে একটা ইটের টুকরা বা বুলেট এসে গায়ে লাগবে তার কোন গ্যারান্টি আছে?মাঝে মঝে পাব্লিকের মার খেয়ে আজ্রাইলের সাথে বাধ্য হয়ে দেখা করতে হয়।হরতালের সময় পুলিশ দেখে যেন কেউ সরকারি বা বেসরকারি সম্পতি ভাংচুর না করতে পারে,পাব্লিক যেন সহজে চলাচল করতে পারে,গাড়ি যেন না ভাঙ্গা হয়,এসব পুলিশের ডিউটি।আর ডিউটি পালন করতে গেলেই দোষ,পুলিশ কেন আমাদের ভাংচুরে বাধা দেয়<এতবড় সাহস পুলিশের,ওই দে ধাওয়া পুলিশ রে।আগে পুলিশ মারি,তারপর গাড়িতে আগুন দিমু।
কোন সরকারি চাকুরিতে ২৪ ঘন্টা ডিউটি?আবার পুলিশ।কিন্তু বেতন তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।একজন ট্রাফিক কন্সটেবল যে কি না রোদে,বৃস্টিতে ভিজে তার ডিউটি করে যায়,কেউ কি জানেন তার বেতন কতটুকু?সেকি সেই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে পারে কি না?এক দিন জিজ্ঞাসা করে দেখবেন।
একজন পুলিশ ওফিসার কত টুকু সময় তার পরিবার কে দিতে পারেন সেটাও একবার ভেবে দেখবেন।রাত চারটা সময় ডিউটি শেষ করে যখন একজন অফিসার বাড়ি ফিরেন তিনি কিন্তু জানেন আবার যে কোন সময় তার ডাক পড়তে পারে ,হয়তবা ভোর ছয়টায় আবার বেরুতে হতে পারে।
পুলিশের নামে সবাই যেন দুর্নাম করতে পারলেই বাচে।একটা খুব ছোট উদাহরন দিচ্ছি ঃ
ধরুন, কারোর গাড়ির লাইসেন্স নাই,তো পুলিশ আটক করেছে।সে প্রথমেই যা করবে তা হল
ঘুষ দিতে চেস্টা করবে আর তা না হলে কোন ণেতাকে ফোন।পুলিশ যদি ঘুষ নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয় তাহলে আপণি সবাইকে বলে বেড়াবেন শালা পুলিশ ঘুষ খেয়েছে আমার কাছে কিন্তু আপনি যে নিজেই ঘুষের জন্য পুলিশকে জোরাজুরি করলেন সেটা কিন্তু বলেবেন না।আর আপনার
গাড়ির যে লাইসেন্স নাই সেটাও কোন সমস্যা না।আর যদি ঘুষ না নেয় তবুও বলবেন পুলিশ খারাপ,কারন আপনি আপনার গাড়ি টি উদ্ধার করতে পারেন নি।So police is always bad.
কতপুলিশ কতসময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে তার কোন খবর নাই।আমরা ভুলে গেছি ২৫ শে মার্চ রাতে পুলিশঈ সর্ব প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল,সেদিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কত পুলিশ সদস্য প্রান দিয়েছিল।
পুলিশের সংস্কার কেউ চায় না।কেয়ারটেকার সরকারের সময় Police Reform Programme(PRP)নামে এক টা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল যেটার এখন পরযন্ত কোন খবর নেই।জীবনেও মনে হয় এটা হবে না।এটা হলে যে পুলিশকে নিজেদের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবে না।
বাংলাদেশ পুলিশ ইচ্ছা করলে কি না করতে পারে? বাংলাদেশে পুলিশের নেট ওয়ারক ই সবচেয়ে বড়।(প্রায় দুই লাখ )এমন কোন থানা,উপজেলা নেই যেখানে পুলিশ নেই এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও পুলিশের তদন্ত ক্রেন্দ আছে।নদী এলাকাতে আছে নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশের কতগুলো ইউনিট আছে জানেনঃ
রেল পুলিশ,বিমান বদর পুলিশ,ইন্ডাস্ত্রিয়াল পুলিশ,আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন,Special Branch(SB), CID, RAB,Detective Branch(DB),Riot Police,Tourist Police, Highway Police, Police Internal Oversight(PIO),Protocol police, আরো অনেক।কোথায় নেই পুলিশ?যদি বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী সৎ এবং effective থাকত তবে দেশের চেহারাই পালটে যেত।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনি ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনির মত প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্টান।কারো নিজস্ব সম্পত্তি নয়।তবে কেন শুধু পুলিশের প্রতি এই অবহেলা?? পুলিশ আজকে বন্ধ করে দিক ,কাল দেখুন দেশ বলে কিছু আছে কি না?এক টা সমাজে বা দেশে পুলিশ অপরিহার্য অংগ।
আর কোন বাহিনিতে মনে হয় পুলিশের মত job stress নাই।এত চাপের মধ্যে থেকেও তারা কিন্তু বসে নেই।যদিও কিছু খারাপ সব জায়গায় ই আছে।
আপ্নারা কি জানেন পি আর বি(PRB)অনুযায়ি পুলিশ constable ও একজন অফিসার??
সমাজে যার সাথে যতবেশি চলাফেরা,তার তত বেশি দোষ চোখে পড়ে।পুলিশ সব সময় জনগনের কাছা কাছি কাজ করে বলে পুলিশের দোষ টাই আগে চোখে পড়ে,গুন টা পড়ে না।অপর দিকে যাকে আপনি কম চিনেন ,যার সাথে কম চলাফেরা করেন তার দোষ খুব সহজেই চোখে পড়বে না,এটাই স্বাভাবিক।এর জন্য পুলিশের যত দোষ এবং সেনাবাহিনির তত গুন।কাছের মানুষের সার্ভিস টা চোখে পড়ে না।পড়ে দুরের টা।
পুলিশ রে গালি দিয়াই খালাস?দেখবেন না এর পিছনের কারন কি? এর সমাধান কি? খালি তো পারেন পুলিশ রে গালি দিতে কেউ ত সংস্কারের কথা বলে না।
ভারতিয় মুভি গুলোয় দেখবেন সবসময় পুলিশ কে positively represent করে (garv,dabbang,wanted,singhham etc) আর আমাদের দ্দেশের মিডিয়া গুলো যা দেখায় …মাশাল্লাহ
আমাদের দেশের শিশুরা ছোটবেলা থেকেই পুলিশের প্রতি একটা নেগেটিভ ধারনা নিয়ে বড় হচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়।
আমি আরো কিছু লিখতে চেয়েছিলাম,কিন্তু আর ধৈর্য নেই,।মনে হচ্ছে ঠিক মত গুছিয়ে লিখতে পারলাম না।আমি এখানে শুধু পুলিশকে positively represent করেছি।দয়া করে কেউ অন্যভাবে নেবেন না।ভুল হলে ভালোভাবে ধরিয়ে দিয়েন। কোন ধরনের গালাগালি করা যাবে না।
সবাই কে ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন,সাধ্যমত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
সংগৃহীত
দয়া করে সম্পুর্ন পড়ে তারপর পুলিশ কে গালি দিন
06 নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫ঃ৩০
অনেকদিন থেকেই দেখছি কিছু হলেই পুলিশ কে গালি।লিখব লিখব করে লিখেই ফেললাম।একবার হলেও দেখে যান বাস্তবতা।
এক ব্লগার ভাই কোন এক পোস্টে বলেছেন “আমরা চাই, এমন একটি সুসভ্য পুলিশ বাহিনী, যার উপর দেশের ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শহরের-গ্রামের সবাই আস্থা রাখতে পারবে, বিপদে নির্দিধায় যেতে পারবে পুলিশের কাছে। মানুষের জীবন হবে নিরাপদ। “
ভাই আপনার কাছে এটি প্রশ্ন, আমরা কি সুসভ্য জাতি? শুধুমাত্র সুসভ্য জাতি হলেই আমরা একটি সুসভ্য পুলিশ বাহিনী পাব।অনেকেই বলে ইউকে,আমেরিকার পুলিশ কত ভালো ,আমাদের পুলিশ সেরকম হয় না কেন? আরে ভাই ওইসব দেশের পাব্লিক কিরকম আর আমদের কিরকম? পুলিশে লোকজন তো আমাদের সমাজ থেকেই যায়,তারা তো আর বাইরের কোন দেশ থেকে আসে না? আমরা যেরকম ,আমদের পুলিশ ও সেরকম।
সবাই শুধু একবাক্যে পুলিশের উপরে দোষ চাপিয়ে খালাস আর কিছু দেখার সময় নাই।আরে ভাই আমাদের দেশের পুলিশ চলে এখনও ১৮৬১ সালের পুলিশ এক্ট দিয়ে যা ব্রিটিশ রা বানিয়ে ছিল শুধু মাত্র তাদের সার্থ উদ্ধারের জন্য, মারপিট করে খাজনা আদায় করার জন্য,লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যহারের জন্য।এজন্য তারা service oriented police act না করে ,করেছিল এমন এক পুলিশ বাহিনী যা শুধু তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে আর নিজেদের দেশের জন্য বানিয়েছিল service oriented police act যেখানে কিনা এক জন constable ও একজন officer।আর সেখান কার এক জন পুলিস অফিসার prime minister এর গাড়ি কে থামাতে পারে কর্তব্যের খাতিরে।
এখন আসি বাংলাদেশের পুলিশে, সেই ব্রিটিশ রা আইন করে দেয়ার পর সময় চলে গেছে।এরমধ্যে অনেকবার ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে কিন্তু কেউ আর সেই আইন টা পরিবর্তন করে নি।কেন করবে?তারা কি আমার আপনার মত গাধা নাকি যে এত সুন্দর অস্র টা হাতছাড়া করবে।সামনে শুধু মূলো ঝুলিয়ে রেখেছে যে পরিবর্তন করব,আগামীবার ক্ষমতায় গেলে নিশ্চিত করব।কেউ কি চায় নিজের ক্ষমতা কমাতে? চায় না।বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনি সম্পূর্ন ভাবে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সোজা কথায় পলিটিক্যাল পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।আজ লীগ তো কাল বিএনপি।জনগনের জন্য কাজ করার সময় কই এদের কাজ করেই সময় পাওয়া যায় না।আপনি একজন সৎ পুলিশ অফিসার,আপ্নাকে সৎ থাকতে দেবে তো?
অনেক কষ্ট করে আপনি অপরাধী ধরলেন,তারপর কি হল?দেখা গেল ওই সন্ত্রাসী ওমুক দলের লোক বা ওমুক এমপির লোক।শুরু হয়ে গেল ফোনের পর ফোন তা না হলে থানা ঘেরাও।কার এত বড় বুকের পাটা এমপির এলাকায় এমপির কথা শুনবে না?না শুনলে খবর আছে, স্বরাষ্টমন্ত্রি কে বলে এক্ষুনি ট্রান্সফার,ওএসডি,সা্সপেন্ড করিয়ে দেব,বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাধ্যতামূলক অবসর অবাধ্য হওয়ার জন্য।আর মিডিয়া তো আছেই একাজে সাহায্য করার জন্য, জেলা প্রতিনিধি কে বলে দিব এমন সব নিউজ দিতে যাতে ওই পুলিশ অফিসার বলে, ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি।কত্তবড় সাহস আমি ওমুক দলের তমুক নেতা ,আমার কথা শুনে না।শালা যত দোষ পুলিশের,কিছু করলে দোষ আবার কিছু না করলেও দোষ।মাইনক্যা চিপা কারে কয় হাড়ে হাড়ে টের পাইবা।বিরোধি দলের কোন নেতারে ধর তাতেও নিস্তার নাই,এমন সব থ্রেট দিব কইলজা শুকায়া যাইব,তারা কি কম নাকি?এক কাজ কর কাউরে ধরার ধরকার নাই,চুপচাপ বইসা থাক,ওরে খাইছে মিডিয়া আছে না,সুশীল সমাজ আছে না!!!তার কি কোন উপায় আছে??
এখন শুনেন মিডিয়ার কথা।রাত ১১ টা দিকে ওমুক পত্রিকার তমুক প্রতিনিধি ওসি সাহেবের রুমে। কিরে ঘটনা কি ,ঘটনা হইল এই যে,ঃ
সাংবাদিকঃ ওসি সাহেব, আপনার এলাকায় তো আইনশৃংখলা পরিস্থিতি তো খুব খারাপ।ভাবতাছি কাল একটা বিশাল নিউজ দিমু এইটা নিয়া।আপ্নি কি কন?
ওসি ঃ ভাই কি যে বলেন না।ভাই চা দিতে বলি চা খান।আপ্নারে আমাদের সাথে এরকম করলে চাকরি কিভাবে করব,বলেন? আমার ক্যারিয়ার টা ধংস কইরেন না।আপ্নার জিনিস রেডি আছে।
(এই বলে ওসি সাহেব দশ হাজার টাকার একটা বান্ডিল সাংবাদিক সাহেবের হাতে ধরাইয়া দিলেন)
সাংবাদিকঃ না না ,এসবের কি দরকার ছিল।আপ্নি বললে আমি এম্নিতেও লিখতাম না।শুধু শুধু কস্ট করলেন।
ওসি ঃ না না রাখেন,এ আর এমন কি?
সাংবাদিকঃ ভাই,আপ্নার মত ভালো ওসি আমি আমার সাংবাদিকতা জীবনে কমই দেখেছি।চিন্তা করবেন না আমি থাকতে কেউ আপনার বিরুদ্ধে টু শব্দটাও লিখবে না।আচ্ছা এখন তাহলে যাই,প্রেস ক্লাবে একটা মিটিং আছে।আমি কিন্তু মাঝে মাঝেই আসব।
ওসি ঃ ঠিক আছে।আর অই ব্যাপারটা কিন্তু মাথায় রাইখেন।
এই হইল ঘটনা।মিডিয়া ইচ্ছা করলে রাতকে দিন বানাতে পারে আবার দিনকে রাত।্মিডিয়ার লোকজন সব একজ়োট হয়ে যদি কারো পিছনে লাগে,তাইলে তার ক্যারিয়ারের বারোটা বাজতে বেশি টাইম লাগবো না।এর জন্য পুলিশ ও সাংবাদিক দের সাথে লাগতে চায় না।দেখবেন সাংবাদিক দের মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে সাংবাদিক কথাটা লেখা থাকে যাতে পুলিশ আগে থেকেই সাবধান হতে পারে যে এই গাড়ি আটকানো যাবে না।আটকালেই আমার নামে নিউজ দিয়ে দিবে যে আমি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাদাবাজি করেছি।
আর পাব্লিক এসব নিউজ খুব খায়।পুলিশ নিয়ে যত খারাপ কথা লিখবেন তত বেশি তা পাব্লিক খাবে।পাব্লিক কি আর দেখতে যাবে কতটুকু সত্য না মিথ্যা।
এসি আকবরের কথা মনে আছে?ওই যে এক সাংবাদিক কে ঘুষি মারতে গিয়েছিল।সব পেপারে হেডলাইন এসেছিল ছবি সহ।আগের ঘটনা কয়জন জানে,সাংবাদিক রা আগে তার উপর চড়াও হয় এবং একজন সাংবাদিক তাকে ঘুষি মারে,তারপর না তিনি ওই সাংবাদিক মারতে যান আর সেই ছবি দিয়ে তার পুলিশ জীবনের ক্যারিয়ার ধংস।আমাকে কেউ ঘুষি মারলে, আমি নিজেও কি তাকে ছেড়ে দিব?কি মনে হয় আপ্নাদের।আর সে তো ছিল ডিউটিরত একজন পুলিশ অফিসার।পুলিশ বাহিনি তে অনেক সত,সাহসী লোক আছেন কিন্তু কত আর ঝামেলা স হ্য করা যায়।এক সময় গিয়ে সেই প্রফেশ্নালিজম আর থাকে না।
বাংলাদেশের আর কোন জব আছে যেটা পুলিশের চেয়ে বেশি রিস্কি?আমার জানা মতে নেই।মিছিল,হরতাল,বোমাবাজি কখন কোন দিক দিয়ে একটা ইটের টুকরা বা বুলেট এসে গায়ে লাগবে তার কোন গ্যারান্টি আছে?মাঝে মঝে পাব্লিকের মার খেয়ে আজ্রাইলের সাথে বাধ্য হয়ে দেখা করতে হয়।হরতালের সময় পুলিশ দেখে যেন কেউ সরকারি বা বেসরকারি সম্পতি ভাংচুর না করতে পারে,পাব্লিক যেন সহজে চলাচল করতে পারে,গাড়ি যেন না ভাঙ্গা হয়,এসব পুলিশের ডিউটি।আর ডিউটি পালন করতে গেলেই দোষ,পুলিশ কেন আমাদের ভাংচুরে বাধা দেয়<এতবড় সাহস পুলিশের,ওই দে ধাওয়া পুলিশ রে।আগে পুলিশ মারি,তারপর গাড়িতে আগুন দিমু।
কোন সরকারি চাকুরিতে ২৪ ঘন্টা ডিউটি?আবার পুলিশ।কিন্তু বেতন তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।একজন ট্রাফিক কন্সটেবল যে কি না রোদে,বৃস্টিতে ভিজে তার ডিউটি করে যায়,কেউ কি জানেন তার বেতন কতটুকু?সেকি সেই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে পারে কি না?এক দিন জিজ্ঞাসা করে দেখবেন।
একজন পুলিশ ওফিসার কত টুকু সময় তার পরিবার কে দিতে পারেন সেটাও একবার ভেবে দেখবেন।রাত চারটা সময় ডিউটি শেষ করে যখন একজন অফিসার বাড়ি ফিরেন তিনি কিন্তু জানেন আবার যে কোন সময় তার ডাক পড়তে পারে ,হয়তবা ভোর ছয়টায় আবার বেরুতে হতে পারে।
পুলিশের নামে সবাই যেন দুর্নাম করতে পারলেই বাচে।একটা খুব ছোট উদাহরন দিচ্ছি ঃ
ধরুন, কারোর গাড়ির লাইসেন্স নাই,তো পুলিশ আটক করেছে।সে প্রথমেই যা করবে তা হল
ঘুষ দিতে চেস্টা করবে আর তা না হলে কোন ণেতাকে ফোন।পুলিশ যদি ঘুষ নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয় তাহলে আপণি সবাইকে বলে বেড়াবেন শালা পুলিশ ঘুষ খেয়েছে আমার কাছে কিন্তু আপনি যে নিজেই ঘুষের জন্য পুলিশকে জোরাজুরি করলেন সেটা কিন্তু বলেবেন না।আর আপনার
গাড়ির যে লাইসেন্স নাই সেটাও কোন সমস্যা না।আর যদি ঘুষ না নেয় তবুও বলবেন পুলিশ খারাপ,কারন আপনি আপনার গাড়ি টি উদ্ধার করতে পারেন নি।So police is always bad.
কতপুলিশ কতসময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে তার কোন খবর নাই।আমরা ভুলে গেছি ২৫ শে মার্চ রাতে পুলিশঈ সর্ব প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল,সেদিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কত পুলিশ সদস্য প্রান দিয়েছিল।
পুলিশের সংস্কার কেউ চায় না।কেয়ারটেকার সরকারের সময় Police Reform Programme(PRP)নামে এক টা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল যেটার এখন পরযন্ত কোন খবর নেই।জীবনেও মনে হয় এটা হবে না।এটা হলে যে পুলিশকে নিজেদের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবে না।
বাংলাদেশ পুলিশ ইচ্ছা করলে কি না করতে পারে? বাংলাদেশে পুলিশের নেট ওয়ারক ই সবচেয়ে বড়।(প্রায় দুই লাখ )এমন কোন থানা,উপজেলা নেই যেখানে পুলিশ নেই এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও পুলিশের তদন্ত ক্রেন্দ আছে।নদী এলাকাতে আছে নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশের কতগুলো ইউনিট আছে জানেনঃ
রেল পুলিশ,বিমান বদর পুলিশ,ইন্ডাস্ত্রিয়াল পুলিশ,আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন,Special Branch(SB), CID, RAB,Detective Branch(DB),Riot Police,Tourist Police, Highway Police, Police Internal Oversight(PIO),Protocol police, আরো অনেক।কোথায় নেই পুলিশ?যদি বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী সৎ এবং effective থাকত তবে দেশের চেহারাই পালটে যেত।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনি ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনির মত প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্টান।কারো নিজস্ব সম্পত্তি নয়।তবে কেন শুধু পুলিশের প্রতি এই অবহেলা?? পুলিশ আজকে বন্ধ করে দিক ,কাল দেখুন দেশ বলে কিছু আছে কি না?এক টা সমাজে বা দেশে পুলিশ অপরিহার্য অংগ।
আর কোন বাহিনিতে মনে হয় পুলিশের মত job stress নাই।এত চাপের মধ্যে থেকেও তারা কিন্তু বসে নেই।যদিও কিছু খারাপ সব জায়গায় ই আছে।
আপ্নারা কি জানেন পি আর বি(PRB)অনুযায়ি পুলিশ constable ও একজন অফিসার??
সমাজে যার সাথে যতবেশি চলাফেরা,তার তত বেশি দোষ চোখে পড়ে।পুলিশ সব সময় জনগনের কাছা কাছি কাজ করে বলে পুলিশের দোষ টাই আগে চোখে পড়ে,গুন টা পড়ে না।অপর দিকে যাকে আপনি কম চিনেন ,যার সাথে কম চলাফেরা করেন তার দোষ খুব সহজেই চোখে পড়বে না,এটাই স্বাভাবিক।এর জন্য পুলিশের যত দোষ এবং সেনাবাহিনির তত গুন।কাছের মানুষের সার্ভিস টা চোখে পড়ে না।পড়ে দুরের টা।
পুলিশ রে গালি দিয়াই খালাস?দেখবেন না এর পিছনের কারন কি? এর সমাধান কি? খালি তো পারেন পুলিশ রে গালি দিতে কেউ ত সংস্কারের কথা বলে না।
ভারতিয় মুভি গুলোয় দেখবেন সবসময় পুলিশ কে positively represent করে (garv,dabbang,wanted,singhham etc) আর আমাদের দ্দেশের মিডিয়া গুলো যা দেখায় …মাশাল্লাহ
আমাদের দেশের শিশুরা ছোটবেলা থেকেই পুলিশের প্রতি একটা নেগেটিভ ধারনা নিয়ে বড় হচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়।
আমি আরো কিছু লিখতে চেয়েছিলাম,কিন্তু আর ধৈর্য নেই,।মনে হচ্ছে ঠিক মত গুছিয়ে লিখতে পারলাম না।আমি এখানে শুধু পুলিশকে positively represent করেছি।দয়া করে কেউ অন্যভাবে নেবেন না।ভুল হলে ভালোভাবে ধরিয়ে দিয়েন। কোন ধরনের গালাগালি করা যাবে না।
সবাই কে ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন,সাধ্যমত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
সংগৃহীত
সুন্দর
ReplyDelete